ফেইসবুকে হ্যাকিং এর শিকার হলে করনীয়

 নিচে চিত্রের মাধ্যমে বিষয়টি বেঝানো হয়েছেঃ-










 

 ফেইসবুকে হ্যাকিং এর শিকার হলে করনীয়
এবং কিভাবে হ্যাকিং এর শিকার হতে পারেন!!!
বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছে ব্যাবহারকারীরা। এর বেশির ভাগই হচ্ছে কিশোরী-নারীরা। আজকে কথা বলবো কিভাবে হ্যাকিং এর শিকার হতে পারেন এবং যদি হয়েও পড়েন তাহলে কিভাবে একাউন্ট রিকভার করতে পারবেন এবং একদম শেষের দিকে আইডি Disable /স্পামিং নিয়ে কথা বলবো।


কিভাবে হতে পারেন হ্যাকিং এর শিকার? সাধারণত ৯০% হ্যাকিং এর শিকার হয় ফেসবুক ব্যাবহারকারীরা ফিশিং লিংক এর মাধ্যমে। আর কুকি হাইজ্যাকিং এর মাধ্যমে । ফিশিং লিংক হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইটের লিংক যা দেখতে হুবহু ফেসবুক অথবা মেসেঞ্জারের LOGIN PAGE এর মত। যার ফলে সাধারন ব্যাবহারকারীরা ব্যাপারটা খুব একটা ধরতে পারে না।
লিংকটি হতে পারে চিত্র-০ এর ন্যায়ঃ
লিংকটি আপনাকে বিভিন্ন ভাবে দিতে পারে হ্যাকার। আপনাকে বলতে পারে
১.এখানে তোমার ছবি আছে,
২.এখানে তোমার অশ্লীল ছবি আছে
৩.এখানে গিয়ে ভোট করো
৪.অথবা আপনার কোন ফেসবুক ফ্রেন্ডের একাউন্ট হ্যাক করে ইত্যাদির প্রতারনামূলক হাজার মেসেজ দিতে পারে।
এক্ষেত্রে করনীয় কি??
3rd party লিংকে প্রবেশ থেকে বিরত থাকুন।আর প্রবেশ করলেও ভুলেও আপনার লগইন থেকে বিরত থাকুন।
আর যদি হ্যাকিং এর শিকার হয়ে যান তাহলে কি করনীয়। হ্যাকিং এর শিকার মানে এই নয় যে আপনি সব হারিয়েছেন। আপনার কাছে সেই একাউন্ট ২ মিনিটের রিকভারি করার সূযোগ আছে। সে যদি আপনার ইমেইলও চেঞ্জ করে ফেলে তবুও চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই।
হ্যাকিং এর শিকার হলে কি করবেন?
 

১.প্রথমে একটি ব্রাউজার থেকে https://www.facebook.com/hacked উক্ত লিংকে প্রবেশ করুন। চিত্র-২ এর ন্যায় MY account is compromised এ ক্লিক করুন।
২.আপনার আইডি খুজে বের করুন আপনার Email address দিয়ে। পূর্বের ইমেইল যা দিয়ে আপনি লগইন করতেন। এক্ষেত্রে হ্যাকার ইমেইল চেঞ্জ করলেও সমস্যা নেই। চিত্র-৩
৩. একাউন্ট খুজে পাওয়া শেষ হলে পূর্বের
ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিন। যা দিয়ে আপনি পূর্বে লগইন করতেন। চিত্র-৪
৪.এবার দেখতে পারবেন এখানে দেখাচ্ছে আপনার পাসওয়ার্ড কবে চেঞ্জ হয়েছে বা হ্যাক হয়েছে। এখানে চিত্র-৫ এর Secure my account এর ক্লিক করুন।
৫.এখানে দেখবেন দেখাচ্ছে send code via email. লক্ষ্য করবেন এখানে আপনার পূর্বের ইমেইল দেখাচ্ছে। এখানে যাস্ট Continue দিন চিত্র-৬ এর মত।
৬.এবার ৯০% কাজ শেষ। এবার শুধু আপনার ইমেইল চেক করুন। দেখবেন সেখানে ৬ ডিজিটের একটা কোড পাবেন। উক্ত কোড এখানে দিয়ে Continue এ ক্লিক করুন। চিত্র-৭ এর মত।
৭.এবার New Password দিন। মনে রাখবেন যত complex password দিবেন ততো হ্যাকিং এর চান্স কম।
একাউন্ট রিকভার হয়ে গেল। ☀☀☀
এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
 

১.ফেসবুক /ইমেইল এই দুইটির পাসওয়ার্ড সব সময় মনে রাখবেন।
২.ফেসবুকে /ইমেইলে সব সময় 2 factor authentication/2FA/Phone verification চালু রাখুন।
৩.ফেসবুকের two-factor Authentication চালু করতে https://facebook.com/settings?tab=security উক্ত লিংকে প্রবেশ করুন।এখানে দেখতে পারবেন
two-factor authentication অপশন আছে । চিত্র-৮ এর ন্যায় সেখানে ক্লিক করুন।
৪.এখানে দুই ধরনের অপশন পাবেন Authentication app এবং Text message (sms)
Use Authentication app এর জন্য Google Authenticator ব্যাবহার করতে পারেন। এপটি অপেন করে স্ক্রিনে দেখানো QR code scan করুন।স্ক্যান করা হয়ে গেলে আপনার মোবাইলের স্কীনে একটি ৬ সংখ্যার কোড দেখতে পারবেন। এইবার ব্রাউজারে continue এ ক্লিক করুন।এবার সেই কোড আপনার ব্রাউজারের দিয়ে Ok প্রেস করুন। কাজ হয়ে গেল। এখন লগইন এর জন্য একটি ৬ ডিজিটের কোড লাগবে যা আপনি আপনার মোবাইলে install করা google authentication এপ অপেন করলে পাবেন।
এবার ধরুন আপনার স্মার্ট ফোন নেই। সেক্ষেত্রে কি করবেন??? সে ক্ষেত্রে আপনি Text message (sms) ব্যাবহার করতে পারেন। এর জন্য সেখানে ক্লিক করলে Add phone number এর ক্লিক করুন। এখানে আপনার phone number দিয়ে Continue এ ক্লিক করুন। নাম্বার এড হয়ে গেলে আপনার ফোনে ৬ সংখ্যার একটি কোড পাবেন। সেটি এখানে দিয়ে Continue এ ক্লিক করলে হয়ে যাবে আপনার two-factor authentication active.
৫.এভাবে নিজে নিজে আপনার Gmail,yahoo এবং অন্য মেইলে two-factor authentication অন করে নিবেন।


এবার কথা বলবো একাউন্ট ডিজেবল নিয়ে।
কিভাবে একাউন্ট disabled হতে পারে। এইধরনের কাজকে হ্যাকিং বলে না বলে স্পামিং। এর জন্য হ্যাকার আপনার নাম দিয়ে এবং ছবি দিয়ে একটি ফেইক একাউন্ট খুলবে। এর পর সেই ফেকবুকে ক্লেইম করবে করবে সেই ফেইক একাউন্টই আপনার রিয়েল একাউন্ট আর আপনার রিয়েল একাউন্ট ফেইক। এক্ষেত্রে যদি আপনার একাউন্ট Disabled হওয়ার পর Real documents submit করতে ব্যার্থ হন। সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট আর ফেরত পাবেন না। আরো বিভিন্ন ভাবে স্পামিং এর শিকার হতে পারেন। স্পামার আপনাকে মৃত বলে উপস্থাপন করে আপনার ফেসবুক Remembering করে দিতে পারে।
স্পামিং এর শিকার হলে করনীয়!!
১.সবসময় ন্যাশনাল আইডি/পাসপোর্ট ইত্যাদি ডকুমেন্টস এর সাথে মিল রেখে ফেসবুক এর নাম দিবেন!
২.সবসময় ন্যাশনাল আইডি/পাসপোর্ট জন্মদিন এবং জন্মসাল দিবেন।
মাথায় রাখবেন সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আপনার একাউন্ট কখনো Disabled হবে না। হলেই ফেসবুক কতৃপক্ষ তা ঠিক করে দিবে।


Alert!!!!! ভুলেও ফেইক ডকুমেন্টস সাবমিট করবেন না। ধরা পড়লে আর কোনদিন আইডি ফেরত পাবেন না। ধন্যবাদ।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post